বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জেলা বিএনপির সভাপতির মুক্তির দাবীতে রূপগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন ও বিক্ষোভ বদলগাছীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠ মিস্ত্রিকে সহায়তা দিলেন সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী (সৌরেন)। পরকীয়া জেরে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা অবস্থায় প্রথম স্বামীকে রেখে প্রেমিকের হাত ধরে পলায়ন  নওগাঁর বদলগাছীতে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষ- সভাপতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৬ বছর পর ঈদগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা  আমি নির্বাচিত হলে আমার ঘোষিত ২৩ দফা ইশতেহার আপনাদেরকে সাথে নিয়ে একটি একটি করে বাস্তবায়ন করবো -ইন্জিঃ রিপন  ঝুঁকিপূর্ণ ৫১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় উৎকণ্ঠা পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ কারাগারে রূপসীতে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা,ভাংচুর ডামি নির্বাচন বর্জনে লামায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ 

নরসিংদীতে ‘পলো বাওয়া’ উৎসব

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৭০ Time View

নরসিংদী প্রতিনিধি-সাদ্দাম উদ্দিন রাজ: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামে শতবর্ষী খলিলাবাদ বিলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সোমবার দিনব্যাপী ‘পলো বাওয়া’ উৎসবে মেতেছেন মাছ শিকারিরা। সোমবার(৪ মার্চ) দুপুরে খলিলাবাদ ঐতিহ্যবাহী বিলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় বহু দূর দূরান্ত থেকে আসা শিকারিরা সকাল থেকে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মিনি ট্রাকযোগে হাজির হন। পলো নিয়ে বিলে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিকারীরা ঝাঁকে ঝাঁকে দল বেঁধে হৈ হুল্লোড় করে নেমেছেন খলিলাবাদ বিলে। উৎসবে কিশোর থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ্ব বয়োবৃদ্ধও রয়েছেন। হাজারো অধিক শিকারী পানিতে নেমে পলো, মাছ রাখার থলে নিয়ে কচুরিপানা সড়িয়ে হই হুল্লোড়ে মাছ শিকার ও উৎসব পালন করতে দেখা গেছে। উৎসবটি উপভোগ করতে সকাল থেকে সারাদিন নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর, কিশোরী ও শিশুরাসহ বয়োবৃদ্ধ সবাই বিলের পাড়ে উল্লাস করে আনন্দ উপভোগ করেন। মাছ শিকারী ও স্থানীয়রা জানান, শত বছরের বেশি সময় ধরে চলা খলিলাবাদ বিলে মাছ শিকারীরা পলো দিয়ে মাছ ধরে উৎসব চলে। প্রতি বছরই ফাল্গুন-চৈত্র মাসের কোন একদিনে এই উৎসব করে। উৎসবটিকে ঘীরে নরসিংদীসহ পার্শ্ববর্তী জেলার গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ২ হাজারো অধিক শিকারী প্রতি বছর এ উৎসবে অংশ নেয়। তবে বিলে পানি ও মাছের ওপর ভিত্তি করে বছরে দুইবারও উৎসব হয়। আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ এসে এখানে মাছ ধরেছেন। নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার শখের মাছ শিকারিদের এক একনামে দল রয়েছে। সেই দলের প্রধানরা মিলে সিদ্ধান্ত নেন একেক সপ্তাহে একেক বিলে মাছ শিকার করবেন। সেই ঘোষণা গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা ছড়িয়ে দেয় পরিচিতদের কাছে। এভাবেই নির্দিষ্ট দিনে সকাল থেকে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মিনি ট্রাকযোগে হাজির হয়ে পলো উৎসবে মেতে উঠেন তাঁরা। মাছ শিকারীরা জানান, উৎসবের দিন সকালে নিজ নিজ পলো, হাতাজাল, উড়ালজাল ও লাঠিজালসহ নানা ধরণের মাছ ধরার জিনিসপত্র নিয়ে বিলের পাড়ে গিয়ে সমবেত হন হাজারো শিকারী। ঘড়ির কাটায় নির্ধারিত সময় বেজে ওঠলেই সবাই মিলে এক সঙ্গে পলো নিয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। মাছ ধরে আনন্দ পাই। নিজ হাতে ধরা মাছ পরিবারের লোকজন নিয়ে মজা করে খাই। গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে আসা সাগর কাজী, মোতালিব, আহাম্মেদ আলী নামে ষাটোর্ধ্ব এক মাছ শিকারি বলেন, ‘আমি এসেছি গাজীপুর থেকে। ১৭ বছর যাবত প্রতি বছর এখানে আসি। এবারও এসেছি। মাছ পাওয়া না পাওয়া বিষয় না। সবাই মিলে আনন্দ করছি, হৈ হুল্লোড় করছি এটাই অনেক মজা খুব আনন্দ। ‘৬৫ বছরের বৃদ্ধ আলাউদ্দিন কাজী নামে একজন বলেন, ‘উৎসবে মাছ ধরতে আনন্দ লাগে। দিনব্যাপী আনন্দে গান হই হুল্লোড়ে চলবে এই পলো-বাওয়া উৎসব। বেচেঁ থাকলে আগামীতেও আসবো। ‘গাজিপুরের কালীগঞ্জ থেকে আসা ৭৪ বছরের বৃদ্ধ আরমান সরকার মাছ শিকারি বলেন, ‘আমি একটি বড় বোয়ালসহ ছোট মাছ পেয়েছি। এতেই আমি খুশি। টাকা দিলেও এই মাছ আমি কিনতে পারবো না। এটা শখের জিনিস। আমি বাড়ি নিয়ে পরিবারকে নিয়ে মজা করে খাবো। ‘স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই এই বিলে উৎসবমুখর পরিবেশে পলো-বাওয়া উৎসব হয়। এই বিল সবার জন্য উন্মুক্ত। সবাই এখানে সারা বছরই মাছ ধরতে পারে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি অনুমতি বিহীন প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি
raytahost-tmnews71